প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর কেমন হলো, তা বুঝতে আরও সময় নেয়া উচিত। মনে করেন রাজনীতি ও কূটনীতি বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সফরের আগে ও পরের আলোচনায় পার্থক্য বিস্তর। সম্পর্কের বিস্তৃতি বেড়েছে, আছে ঋণ প্রণোদনাও। তবে, সব কিছু আলোর মুখ দেখার ওপর নির্ভর করে পুরো বিষয় মনে করেন তারা।
ভারতের পর সরকারপ্রধানের চীন সফর নিয়ে আগ্রহ ছিলো সবার। সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে হয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। হয়েছে ২১টি সমঝোতা ও ৭টি ঘোষণাপত্র সই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আলোচনা হয়েছে ১ বিলিয়ন ইউয়ানের ঋণ সহযোগিতা এবং চার ধরনের ঋণের প্রসঙ্গ। আশ্বাস এসেছে, দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বিত উন্নয়ন বাস্তবায়নে পাশে থাকবে চীন। কিন্তু কথা হয়নি বহু আলোচিত তিস্তা প্রকল্প নিয়ে। যদিও প্রাক-সফর আলোচনায় ছিলো, বড় অংকের বাজেট সহযোগিতা এবং জিডিআই ফোরামে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রসঙ্গ।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, সবকিছু বুঝে উঠতে, অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন। আগে চীন মানেই ছিলো অবকাঠামো উন্নয়ন, এখন তা শিক্ষা-স্বাস্থ্যেও বিস্তৃত।
বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশিত ঋণ নিয়ে আলোচনার বিষয়গুলো স্পষ্ট নয়। এই বিশ্লেষক মনে করেন, আর্থিক খাতে সুশাসন না থাকার প্রভাব আরও বাড়তে পারে।
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যেসব দেশের শত্রুতা বেশি আলোচিত, তাদের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্যও বেশি। তাই, জিডিআই নাকি কোয়াড- তা নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে মুক্তভাবে।
একই সঙ্গে তিস্তা প্রকল্প শুধু চীন বা ভারত নয়, উন্মুক্ত করতে হবে সবার জন্য, পরামর্শ দেন এই দুই বিশ্লেষক।