কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে বন্ধ ঘোষণা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো এলাকাই এখন থমথমে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও বিজিবি। আবাসিক হলগুলো থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেয়া হয়েছে। জহুরুল হক হলে স্থায়ীভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথগুলোও বন্ধ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন দৃশ্য কল্পনাও করেনি কেউ। আবাসিক হল থেকে বিতাড়িত হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাও আবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়ে। এই দৃশ্য রোকেয়া হলের।
সকাল পর্যন্ত সায়েন্স ফ্যাকাল্টির তিন হলসহ মোট দশটি হল থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বের করে দেয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের কক্ষও। ফেলে দেয়া হয়েছে বিছানা, বইসহ কক্ষের জিনিসপত্র।
সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। হলের সিট বণ্টনসহ শিক্ষার্থীদের ভালোমন্দ দেখভালের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে হল প্রসাশন।
গতরাত থেকেই ক্যাম্পাসে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও বিজিবি। হলগুলোর সামনে সশস্ত্র টহল তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের সবকটি পথ বন্ধ। বহিরাগত কাউকেই প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। শাহবাগ এলাকার প্রবেশপথ দিয়ে কেবল পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে ঢোকা যাচ্ছে।
বেলা এগারোটা নাগাদ টিএসসি এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জড়ো হন। তাদের হাতে থাকা লাঠিসোটা নিয়ে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম। বের করে দেয়া হয় বহিরাগতদের।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেট সভা বসে। সভাশেষে জানানো হয়, অনির্দষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঢাকা বিশ্বদ্যালয়। আবাসিক হল ছাড়তে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের।