সতর্কতা ছাড়াই বাঁধ খুলে দেয়ার প্রতিবাদে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। এদিকে, ত্রিপুরায় বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যার খবর প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিকেলে সাক্ষাত করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
ত্রিপুরায় বাঁধ খুলে দেয়ার প্রতিবাদে বিকালে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে ভারত, এমন অভিযোগ তাদের।
পরে কয়েকটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন। এসময় বাঁধ খুলে দেয়ার কারণ এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয় বলে জানান তারা।
এদিকে, একই সময় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। বৈঠকে চলমান বন্যা পরিস্থিতি এবং এর নানান দিক ও করণীয় নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া পানির ন্যায্য হিস্যা সমাধানে দুই পক্ষের আলোচনা করে পদক্ষেপের ব্যাপারেও প্রণব ভার্মাকে জানানো হয়।
এদিকে, ত্রিপুরায় বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যার খবর প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। দিল্লির পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ত্রিপুরার গোমতী নদীর উপরে তৈরি দুম্বুর বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণে বন্যা হয়েছে, এ তথ্য সঠিক নয়। বন্যার কারণ হিসেবে বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে অধিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় এই পরিস্থিতি হয়েছে। বন্যা নিয়ে বাংলাদেশি মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার হচ্ছে বলেও জানায় ভারত।