অর্থপাচার ঠেকাতে ও পাচারের অর্থ ফেরত আনতে ব্যর্থ-আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট-বিএফআইইউ। গত ১২ বছরে, ব্যস্ত ছিল চুনোপুটিদের ধরতে, আড়াল করেছে রাঘব বোয়ালদের অর্থপাচার। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বতন্ত্র ও স্বাধীন সংস্থাটি, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নিষ্ক্রিয় ছিল। তাদের অভিযোগ, সংস্থাটি দলীয়করণের মাধ্যমে অকার্যকর করে রাখা হয়।
গণরোষে বিদায় নেয়া, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিপুল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন বিদেশে। যুক্তরাজ্যে তার ও স্ত্রীর সম্পদের তথ্য প্রমাণ থাকা স্বত্বেও, কোন ব্যবস্থা নেয়নি। মন্ত্রী পরিবারের অপ্রদর্শিত সম্পদের তথ্যটি নিয়ে ছিলো জন উদ্বেগ।
বাংলাদেশ থেকে পাচার ঠেকোতে ও পাচারের অর্থ ফেরত আনতে দায়িত্ব প্রাপ্ত-বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট-বিএফআইইউ। সংস্থাটি, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের শাসন আমলের প্রথম মেয়াদে প্রতিষ্ঠিত হলেও, গত এক যুগে বড় কোন সফলতা দেখাতে পারেনি।
দেশ থেকে পাচারের পরিমাণ, বাৎসরিক চিত্র, কিছুই উদঘাটন করতে পারেনি স্বতন্ত্র এ প্রতিষ্ঠানটি। উল্টো ব্যস্ততা দেখিয়েছে, চুনোপুটি ধরতে আর মারতে। অথচ, রাঘোব বোয়ালদের ব্যাপারে, নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়ে প্রমাণ করেছে-দলীয়করণের।
২০১২ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা হয় আইনের আওতায়। কিন্তু, এর শীর্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়-দলীয় বিবেচনায়। সবশেষ এর দায়িত্বে থাকা, মাসুদ বিশ্বাস পটপরির্তনের পর পদত্যাগ করেন। যার বিরুদ্ধে, অনৈতিক সুযোগ নিয়ে নিষ্ক্রিয়তার কথা উঠেছে।
আলোচনা রয়েছে, মাসুদ বিশ্বাস একটি চক্র গড়ে তোলেন সংস্থাটিতে। যারা দায়িত্ব ধামাচাপা দিয়ে, ব্যস্ত থেকেছেন, অনৈতিক ফায়দা দিতে। ব্যাংকিং খাতে ঋণ অনুমোদন, সুদ মওকুফ, বদলি, নিয়োগের তদবির করে-সম্পদ অর্জন করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, কাযকর বিএফআইইউ গড়ে তুলতে, ঢেলে সাজাতে হবে প্রতিষ্ঠানটি।