লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি নামতেই নতুন ভোগান্তিতে নদী পাড়ের বাসিন্দারা। ভাঙন শুরু হয়েছে রহমতখালী নদীর অন্তত ১০টি গুরুত্বপূর্ণ জনবসতিতে। এতে শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা খেটে খাওয়া এসব মানুষ। দাবি বাঁধ নির্মাণের।
লক্ষ্মীপুরের তুলনামূলক উঁচু এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও, ভোগান্তি কাটেনি। পানি কমা শুরু হতেই ভাঙনের কবলে পড়েছেন রহমতখালী নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিদিনই নদীগর্ভে যাচ্ছে বাড়িঘর, দোকানপাট-জনবসতি।
এমনিতেই নদী থেকে খাল হয়েছে রহমত খালি। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে বানের পানি আসছে এ পথে। আর তাতেই নদীর তীব্র ভাঙ্গনে বিলীন হতে চলেছে সদর উপজেলার পিয়ারাপুর, টুমচর, কালিরচর এবং ভবানীগঞ্জ গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্থ খালের দুই পাশের শতাধিক পরিবার।
চোখের সামনে পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটি খুইয়েছেন অনেকে। জীবন সায়ান্নে মুখোমুখি হচ্ছেন নতুন এক সংগ্রামের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙনরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।
লক্ষ্মীপুরে এমন ছোট-বড় ৭২টি নদী খাল এখন দখল দূষণে বিপর্যস্ত। দ্রুত এসব দখলমুক্ত করার দাবি স্থানীয়দের।