17 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

আজ সালমান শাহকে হারানোর ২৮ বছর

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সালমান শাহ। তিনি যেন জয় করে নিয়েছিলেন কোটি ভক্তের হৃদয়। আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) তার ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনেই না ফেরার দেশে চলে যান জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহ।

১৯৯৬ সালের আজকের এইদিনে ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পুলিশের একাধিক তদন্ত শেষে বলা হয়, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে তার পরিবার ও ভক্তরা এই তদন্ত কখনও গ্রহণ করেননি। বরং তাদের দাবি, সালমানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তার মৃত্যু দেশের মানুষের কাছে আজও রহস্যজনক হয়েই থাকলো।

১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। পড়াশোনা করেন খুলনার বয়রা মডেল হাইস্কুলে। ১৯৮৭ সালে তিনি ঢাকার ধানমন্ডি আরব মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ধানমন্ডির মালেকা সায়েন্স কলেজ (বর্তমান ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ) থেকে বি.কম. পাস করেন।

সালমান শাহ ১৯৮৫ সালে বিটিভিতে মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক নাটক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করে। পরবর্তীতে অভিনয় করেছেন বেশ কিছু টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনে।

১৯৮৬ সালের দিকে হানিফ সংকেতের গ্রন্থনায় ‘কথার কথা’ নামের একটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান প্রচার হতো। এর কোনও একটি পর্বে ‘নামটি ছিল তার অপূর্ব’ নামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও পরিবেশিত হয়। হানিফ সংকেতের কণ্ঠে গাওয়া এই মিউজিক ভিডিওতে মডেল হওয়ার মাধ্যমেই সালমান শাহ মিডিয়াতে প্রথম সবার নজর কাড়েন।

গায়ক হিসেবেও সালমানের পরিচিতি ছিল। ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লী গীতিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আসার আগেই ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট সাবেক ক্রিকেটার শফিকুল হক হিরার কন্যা সামিরার সঙ্গে বিয়ে হয় সালমানের।

১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে এই নায়কের। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন বছরে সালমান শাহ অভিনয় করেছেন ২৭টি সিনেমায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমাই ছিল সুপারহিট। তালিকায় রয়েছে- ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখি’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘জীবন সংসার’, ‘আনন্দ অশ্রু’র মতো সিনেমা।’

সালমান শাহ চলে যাওয়ার দুই যুগ পাড় হয়ে গেল। সে সময় থেকেই তাকে অনুকরণ করার চেষ্টা ছিল অনেকের মধ্যেই, যা এখনও চলমান। ভক্তদের হৃদয়ে এখনও অমর হয়ে আছে সালমান শাহ। তার মতো কেউ ছিলেন না, কেউ নেই আর কেউ আসবেনও না। সালমান শাহ বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে দর্শকদের অন্তরে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন