পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় হোটেল- সী-বিচ ইন নামের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে আফরোজা আক্তার ওরফে রিতু(১৯) নামের এক পর্যটকদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ওই তরুনীর সাথে থাকা স্বামী ও তাঁর বন্ধু পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে আটক করে স্থানীয়রা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুয়াকাটা সৈকত পারের ওই হোটেলের ৫০১ নাম্বার হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ওই রুমে থাকা বাকি তিনজনকে হেফাজতে রেখেছে পুলিশ।
পুলিশ ও হোটেল কতৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গতকালকে যশোরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে দু’জন পুরুষ দু’জন নারী ওই হোটেলে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি কানেক্টিং রুম ভাড়া নেয়। শনিবার সকালে নাস্তা খাওয়ার পরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে ওই তরুণী দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে নিজের ওড়না দিয়ে ঝুলে পরে। পরে দরজা ভেঙে হোটেলের ম্যানেজার সহ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
মরদেহ উদ্ধার করা ওই তরুণী যশোরের কোতোয়ালি থানার ধর্মতলা এলাকার আমির হোসেনের মেয়ে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া ওই তরুণীর আপন বোন পরিচয় দেয়া আঁখি আক্তার(১৭) । স্বামী দাবি করা একই এলাকার সংকরপুর এলাকার বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর (২১) এবং ইছা মীরের বন্ধু পরিচয় দেয়া ওই এলাকার বারান্দিপাড়া এলাকার কুমারেশ সাহার ছেলে কপিল চন্দ্র সাহা (২১)
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলি হায়দার জানান, হঠাৎ করে রাস্তায় দু’টি ছেলে দৌড়ে পালাচ্ছে পিছন পিছন হোটেলের এক কর্মচারী তাঁকে দাওয়া করছে এটা দেখে আমরা তাদেরকে আটক করে হোটেল কতৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। তাঁদের পরিবারের সাথে কথা বলে তাঁদেরকে আসতে বলা হয়েছে। ওই তরুণীর সাথে থাকা বাকি তিনজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।