আবারও পতনের কবলে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। গেল দুই কার্যদিবস ধরে টানা পতনের পর দৈনিক লেনদেনে রয়েছে নেতিবাচক প্রভাব। একদিকে বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন অন্যদিকে লেনদেনের শ্লথগতির কারণে শেয়ারবাজারে আস্থা সংকট তৈরি হয়েছে।
জানা যায়, আজ ১৭ সেপ্টেম্বর ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৫৩ শতাংশ বা ৩০.১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৮১.৬০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮.৪৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৩৮.১৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১৬.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৬৮.৬১ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৪০১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৬টির, কমেছে ১৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৩৮.৯০ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে।
সারাদিনে ডিএসইতে ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮ হাজার ৮৬১টি শেয়ার ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭৮ বার হাতবদল হয়েছে। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৬৩৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
গত কার্যদিবসে অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.২৫ শতাংশ বা ১৪.৭৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছিল ৫ হাজার ৭১১.৭৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১.০০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে ১ হাজার ২৪৬.৬৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১৫.২২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২ হাজার ৮৫.৫২ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ১৬৯টির, কমে ১৮২টির এবং অপরিবর্তিত রাখে ৪৬টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে গত কার্যদিবসে ৪২.৫৬ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়।
সারাদিনে ডিএসইতে ১৭ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ১৫৮ টি শেয়ার ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৮ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ৬৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি ৯৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
এদিকে আজ দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ০.২৬ শতাংশ বা ৪১.৬৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ১৬ হাজার ৭৭.০৬ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ২২৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। আজ দিন শেষে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার ৮০৬ টাকা।