চলতি বছরের ডেঙ্গু শনাক্তের প্রায় অর্ধেক রোগী শনাক্ত হয়েছে সেপ্টেম্বরের প্রথম ২০ দিনে। প্রাণ ও হারিয়েছেন প্রায় অর্ধশত। আক্রান্তদের ৬৩ শতাংশ পুরুষ হলেও মৃত্যু বেশি হয়েছে নারীদের। ঢাকায় রোগীর সংখ্যা সবসময় বেশি থাকলেও এবার পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাইরেও। কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, শহরের বাইরে মশা নিধনের কার্যক্রর উদ্যেগ কম হওয়াতে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।
জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখ। প্রায় প্রতিদিনই শনাক্ত হয়েছে ডেঙ্গু রোগী।
বছরের প্রথম মাসে ১ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয় মারা যান ১৪ জন। পরবর্তী ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত হাজারের ঘর অতিক্রম না করলেও জুলাই থেকে বাড়তে থাকে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। জুলাইতে ২,৬৬৯ শনাক্ত, মারা যায় ১২ জন। আগস্টে ৬৫২১ জন প্রাণ হারান ২৭ জন। সেপ্টেম্বরের প্রথম ২০ দিনেই শনাক্ত হয়ে বছরের প্রথম আট মাসের সমান রোগী।
ডেঙ্গু শনাক্তের পর থেকে মূলত ঢাকার ২ সিটি করপোরেশনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত পাওয়া যায়। তবে এবার প্রায় ১৩ হাজারের বেশি রোগী দেশের সিটি করপোরেশনেগুলোর বাইরে। যা চলতি বছরের মোট শনাক্তের অর্ধেকের বেশি।
চিকিৎসকরা বলছেন, রাজধানীর বাইরের রোগী বেশি আসছে ।
কিটত্বত্তবিদরা বলছেন, মশা নিধনে সবসময় গুরুত্ব পেয়ে আসছে সিটি করপোরেশনগুলো। তবে এবার বাড়তি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ রাজধানীর বাইরে।
চলতি বছরের সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে পুরুষ। প্রায় মোট শনাক্তের ৬৩ শতাংশ। কিন্তু কম আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি বেশি হয়েছে নারীদের।