26 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৭, ২০২৪
spot_imgspot_img

‘ডুয়েট ক্যান্টিনে’ ৬ মাসে ছাত্রলীগের বাকী ১ লাখ ২০ হাজার টাকা

গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ক্যাম্পাসের ৬ মাস আগে চালু হওয়া ক্যান্টিনে, ছাত্রলীগ নেতাদের বাকির পরিমাণ দাড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বেশি। এই দাবি করেছেন ওই ক্যান্টিনের মালিক মনির।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মিথুন ও সাধারণ সম্পাদক মান্নান মিলেই প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো বাকি খেয়েছেন বলে জানান মনির। এসব নিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা লিখিতভাবে বাকির লিস্ট জমা দিতে বলেন। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাদের ভয়ে সেই লিস্ট এবং লিখিত অভিযোগ কখনো দেয়া হয়নি।

বাকির হিসাবে দেখা যায়, হলে থাকা ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা নিয়মিতভাবে জোর করে বাকি খেতেন।

হলে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, এত টাকা বাকি খেলে তিনি কিভাবে ক্যান্টিন পরিচালনা করেছেন আমরা জানি না। এত টাকা বাকি থাকার পরও তিনি কিভাবে ক্যান্টিন চালিয়েছেন সেটাও দেখার বিষয়।

ক্যান্টিনের কর্মচারীরা জানান, বিভিন্ন সময় ফ্রি খাওয়ার অজুহাত হিসাবে খাবারের মান খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ তুলতেন ছাত্রলীগ নেতারা। টাকা চাইলেই গালিগালাজ করে মারধরের হুমকি দিত তারা।

এ বিষয়ে ক্যান্টিন মালিক মনির বলেন, ২০২৪ সালের প্রথম থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতারা তার ক্যান্টিন থেকে নিয়মিত বাকি খেয়েছেন। তিনি তাদের কিছু বলতে পারতেন না, অভিযোগ দেওয়ারও সুযোগ ছিল না। এ পর্যন্ত অনেক টাকার বাকি খেয়েছেন তারা, যার সব হিসাবও লেখা হয়নি।

তারা যখন খেতে আসতেন একসাথে প্রায় ৭ থেকে ১০ জন আসতেন। কোন কোন সময় টাকা চাইলে হলের টর্চার সেলে নিয়ে যাবে বলেও হুমকি দিয়েছে তারা। যে কারণে ক্যান্টিনের খাবারের মান চাইলেও ভালো করা সম্ভব ছিলো না। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর এ ধরণের কোন চাপ নেই, তাই আগের থেকে খাবারের মান অনেকটা ভালো বলে জানান তিনি।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, হল ক্যান্টিনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা হলেই ফ্রি খাওয়াতে হবে, এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

spot_img
spot_img

আরও পড়ুন

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন