26 C
Dhaka
শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
spot_imgspot_img

লক্ষ্মীপুরে আওয়ামীলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে নুর আলম ওরফে নুরু টেইলার নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নুর আলম সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকার কালামিয়ার ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নুর আলম রাজনীতির পাশপাাশি টেইলারের কাজ করতেন। ৫ আগষ্টের সরকার পতনের পর থেকে নুর আলম ব্যবসা বন্ধ করে বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

রোববার রাত ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫ থেকে ২০ জনের একদল সন্ত্রাসী নুর আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নুর আলমকে গুরুতর আহত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে স্ত্রী-সন্তানকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নুর আলমকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন জানান, বিএনপির সমর্থক স্থানীয় সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫ থেকে ২০ জনের একদল সন্ত্রাসী রাত ৯টার দিকে পাঁচপাড়ার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ঘরে হামলা চালায় তারা। এ সময় তার বাবা নুর আলমকে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করে দুইজনকে আহত করে তারা।

আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার কারনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা ও হামলা করা হয়েছে বলে দাবি নিহত নেতার ছেলে আরিফ হোসেন ও চাচা শাহ আলমের।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই নুরু মারা যান। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেন তিনি।

চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তবে এই হত্যাকান্ডের সাথে কারা জড়িত বা কি কারনে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

spot_img
spot_img

আরও পড়ুন

spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন