পদ্মা সেতু প্রকল্পে চরের জমির ভুয়া মালিক সাজিয়ে, ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে, সাবেক চিফ হুইপ নুরে আলম লিটন চৌধুরী ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে। খরচের নামে টাকা নেওয়া হয়েছে প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকেও। অথচ নদীশাসনের জন্য তোলা বালু ফেলতে পদ্মা সেতু প্রকল্পে কেনা হয়েছিল ৯০০ কোটি টাকার জমি।
শিবচরে পদ্মাসেতু প্রকল্পের জন্য ২০১৬ সাল থেকে পরের কয়েক বছরে, ৯৬৪ হেক্টর চরের জমি বাছাই করে সরকার। পদ্মা সেতুর নদীশাসন প্রকল্পের বালু ফেলতে অধিগ্রহণ করা হয় পানিতে তলিয়ে থাকা জমিও।
কিন্তু কাজ শুরু হতেই আসে বাধা। অভিযোগ আছে, সাবেক চিফ হুইপ নুরে আলম লিটন চৌধুরীর ইন্ধনে, তার অনুসারীরা কয়েকটি ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান ও কৃষকদের খেপিয়ে তোলে। জমি অধিগ্রহণ করে বালু ফেলার জন্য সরকারকে চাপ দেয়।
পরে সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে দামের তিন গুণ ক্ষতিপূরণের আইন পাস হয় ২০১৭ সালে। এতে এই প্রজেক্টে যুক্ত হয় বাড়তি আরও ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যেখানে এসব জমি কেনার কোন প্রয়োজনই ছিল না।
অভিযোগ আছে, চরের অধিকাংশ জমি সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত। কেউ বন্দোবস্ত নিয়ে চাষাবাদ করছিলেন, কেউ দখল করে। কিন্তু যখনই সরকারিভাবে বালু ফেলার সিদ্ধান্ত হয়, তখনই জমির নিয়ন্ত্রণ নেন লিটন চৌধুরীর অনুসারীরা।
ভুয়া দলিল তৈরি করে সরকারি খাসজমি ব্যক্তি মালিকানা দেখিয়ে, আত্মসাৎ করেন সরকারের ৯০০ কোটি টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে, টাকা আত্মসাৎকারীদের আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন ইউএনও।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত জুন মাসে প্রকল্পটি শেষ হয়। ব্যয় হয় মোট ৩০ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। যেখানে প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি।