22 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

যে কারনে বিয়ে করেননি রতন টাটা

৬ হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া স্বত্বেও বিয়ে করেননি রতন টাটা। তার এই চীরকুমার জীবনের রহস্যটাই মৃত্যুর পরেও রয়ে গেল অধরা।

ভারতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পপতি রতন টাটা। তার জীবনে ঘটেছে এমন কিছু ঘটনা যা নিঃসন্দেহে চমকে দেওয়ার মতোই।

রতন টাটা হলেন নেভাল টাটার ছেলে, যিনি ছিলেন টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামসেদজি টাটার দত্তক নেওয়া নাতি। ১৯৩৭ এর ২৮ ডিসেম্বর মুম্বইতে নেভাল টাটা এবং সুনি টাটার পরিবারে তাঁর জীবন শুরু।

১৯৪৮ সালে বাবা-মা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর রতন টাটা ও তাঁর ছোট ভাই জিমি টাটা বড় হন তাঁর দাদি নওয়াজবাই টাটার কাছে। এই সময়ের কথা খুব একটা প্রকাশ্যে বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন না রতন।

বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি মেনে নিতে পারেননি ছোট্ট দুই ভাই। তাই ছোটবেলায় বেশ মানসিক কষ্ট নিয়েই বেড়ে ওঠেন দুই ভাই।

রতন টাটা একবার স্বীকার করেছিলেন তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করার সময়ই এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ পরিণতি পায়নি সেই প্রেম। কিন্তু সেইসময় ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের কারণে, মেয়েটির বাবা-মা সেইসময় মেয়েকে ভারতে আসতে দেয়নি।

এরপর একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি রতন টাটা। তাই শেষ দিন পর্যন্ত কুমার থেকে গেলেন। অনেকে মনে করেন, ছোটবেলা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে।

জামশেদজি টাটার সময় থেকেই বোম্বে হাউসে বর্ষাকালে রাস্তার কুকুরদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। সেই ঐতিহ্য অব্যাহত রেখেছেন রতন টাটা। কুকুর খুব ভালোবাসেন তিনিও। বিভিন্ন সময় রতন টাটাকে খেলতে দেখা যেত কুকুরদের সঙ্গে। রতন টাটার ইনস্টাগ্রামে তাঁর চেয়ে কুকুরের ছবির সংখ্যাই বেশি!

বোম্বে হাউসের সদর দপ্তরে সাম্প্রতিক সংস্কারের পরে রাস্তার কুকুরদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করা হয়। সেখানে রাস্তার কুকুরদের জন্য খাবার, পানি, খেলনা দেওয়া হয়। সেখানে একটি খেলার জায়গাও রয়েছে তাদের জন্য।

রতন টাটা ছিলেন লাইসেন্সধারী পাইলট। তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে ২০০৭ সালে এফ-১৬ ফ্যালকন মডেলের ফাইটার জেট চালান। একবার কলেজে হেলিকপ্টার চালাতে গিয়ে তিনি ইঞ্জিন হারিয়েছিলেন। এছাড়া, দু’বার তিনি বিমানের ইঞ্জিন হারিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি প্রায়ই তার কোম্পানির ব্যবসায়িক জেট চালাতেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন