মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মা-মেঘনা নদীসহ অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। অভিযান সফল করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এবার থাকছে সেনাবাহিনীও।
মেয়াদ শেষ ও প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সময় স্বল্পতা, ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধিতে এবার অনুমোদনের ২২ শতাংশ ইলিশ পাঠাতে পেরেছেন রপ্তানিকারকরা।
এবার ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত ৮টা পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়া ২ হাজার ৪৫০ টনের বিপরীতে মাত্র ৫৩৩ টন ইলিশ ভারতে গেছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দরের মৎস্য কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
এসব মাছের রপ্তানি মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯টি প্রতিষ্ঠান কোনো ইলিশ রপ্তানিই করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজীব নাজির।
ইলিশ চেয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধ আর বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া অনুমতির মেয়াদের মধ্যে সময় স্বল্পতার কারণে পুরো ইলিশ রপ্তানি করা যায়নি।
এদিকে মৌসুমের শেষ মুহূর্তে জালে যখন মাছ ধরা পড়ছে, ঠিক তখনি নিষেধাজ্ঞা হতাশ জেলেরা। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ভারতের জেলেদের বাংলাদেশী জলসীমায় অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দাবি অনেকের।
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ইলিশ মৌসুম হলেও এ বছর হতাশ ছিল জেলেরা। বৈরী আবহাওয়া, অন্যদিকে প্রাকৃতিক কারণে জালে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়েনি তাই এই নিষেধাজ্ঞায় চিন্তিত জেলেরা।
মৎস্য বিভাগ জানায় নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে রাঙ্গাবালীতে ১১ হাজার ৬৬৬ জন জেলেকে সরকারি অনুদান দেওয়া হবে।
ভোলায় মা ইলিশ রক্ষার জন্য নিষেধাজ্ঞা শুরুর ২ দিন আগে থেকেই জেলেদের প্রস্তুতি নিতে দেখা গিয়েছে। এতে করে বেকার হয়ে পড়ছে জেলার ২ লক্ষাধিক জেলে।তবে প্রস্তুত মৎস বিভাগ।
ভক্সপপ: জেলে ও আড়ৎদার।
ভোলায় ১ লক্ষ ৪১ হাজার জেলে নিষেধাজ্ঞা কালীন সরকারি প্রনোদনার ২৫ কেজি করে চাল পাবেন। এর বাহিরেও এ জেলায় অন্তত ২ লক্ষাধিক জেলে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে অনিবন্ধিত জেলেদের পাশে দাড়ানোর দাবি সাধারণ জেলেদের।