ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আজহায় ৬ দিন, দুর্গাপূজায় ২ দিন ছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। ২০২৫ সালের জন্য সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আজ তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সরকারিভাবে পালনের জন্য বেশ কয়েকটি দিন সংযুক্ত করা হয়েছিল । এর মধ্যে ছিল, ১৫ আগস্ট ,৭ ই মার্চসহ আরো বেশ কয়েকটি দিন ।
তবে গতকাল জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে, এমন আটটি দিবস বাতিল করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা । প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে জানানো হয় এই তথ্য ।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদে পাঠিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ওঠার পর অনুমোদন পেলে সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
এদিকে, দুটি দিবসে ছুটির প্রস্তাব করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত মুখ লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ প্রস্তাব দেন তিনি।
ফেসবুকে পোস্টে পিনাকী লিখেন , ‘বাতিল হচ্ছে আট জাতীয় ছুটি। আমি ১৫ আগস্টের ছুটি চাই। ওইদিন হবে ‘নাজাত দিবস’। বাকশালের জিঞ্জির থেকে জাতির মুক্তির দিবস। আর পাঁচই আগস্ট ফ্যাসিবাদ পতন দিবস বা মহান পলায়ন দিবস পালনের দাবি তার । ফেসবুক পোস্টে পিনাকী আরও লিখে জানতে চান , ‘কে কে আমার প্রস্তাব সমর্থন করেন?’
এদিকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বাতিল করছে জাতীয় শোক দিবস, শিশু দিবস ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চসহ আটটি দিবস। গত সেপ্টেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সরকার এসব জাতীয় দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাতিল হওয়া আটটি দিবসের মধ্যে পাঁচটিই শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত। এর মধ্যে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস।
এ ছাড়া বাতিলের তালিকায় রয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস ও ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।