বিএনপির নামে কেউ দখলবাজি ও চাঁদাবাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে দলটির কুষ্টিয়া জেলা শাখা। এছাড়া দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে ছাত্র-জনতার লড়াই সংগ্রামে বিশ্বের জঘন্যতম আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক বিজয় এসেছে। অতি সম্প্রতি কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত বালুমহল, জলমহল, হাটঘাট ইত্যাদিতে পতিত স্বৈরাচারী খুনি আওয়ামী সরকারের প্রেতাত্মা ও তাদের দোসররা অবৈধভাবে তাদের দখলদারিত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত রেখে জনদুর্ভোগ ও সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষেত্র বিশেষে এই অপশক্তিরা কখনো কখনো রাজনৈতিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কোন দায়িত্বশীল নেতা কর্মীদের এই ধরনের জনবিরোধী চেষ্টার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই। বিবৃতিতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন এবং তার রাজনৈতিক পরিচয় যাইহোক দলগতভাবে বিএনপির অবস্থান তাদের বিপক্ষে এবং জনগণের পক্ষে। সেইসাথে জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে ওই সকল দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করে জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তারই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়ায় সনাতন ধার্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা ও তিনদিনব্যাপী লালন তিরোধান দিবসের আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
তবে এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজিসহ দোকান,বাজার,ঘাট দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি মহল। সম্প্রতি পৌর ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি মহিদুল ইসলামের বালুঘাট ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় ওই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ওয়ার্ড বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে দলটি। এর পরপরই এই বিবৃতি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার নাগরিক টেলিভিশনকে বলেন,কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির এই বার্তা দলমত নির্বিশেষে। আমরা জনগণের পক্ষে। দুস্কৃতিকারীরা কোন দলের হতে পারে না। যারা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সাথে আতাত করে দলকে ভাঙিয়ে অপকর্ম করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা।