29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

ফোন রিস্টার্ট করলে, মুক্তি পাবেন হ্যাকিং থেকে?

সাইবার হামলা ও হ্যাকিং থেকে বাঁচতে প্রতি সপ্তাহে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলা সব স্মার্টফোন রিস্টার্ট দেওয়া উচিত বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, এর ফলে জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি থেকে স্মার্টফোন সুরক্ষিত থাকবে। এমনকি নিয়মিত রিস্টার্টের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার হামলা থেকেও নিরাপদ থাকা সম্ভব।

উক্ত সংস্থার সাইবার বিশেষজ্ঞদের দাবি, সপ্তাহে অন্তত কিছুদিন ফোন রিস্টার্ট করা উচিত। এর ফলে যে ভাইরাস রয়েছে বা ম্যালিসিয়াস সফটওয়্যার চলছে তা বন্ধ হয়ে যাবে। হ্যাকিং বা ফিশিংয়ের হাত থেকে বাঁচবেন আপনি। যদিও শুধু রিস্টার্ট করলেই হবে না, তার সঙ্গে আরও কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির মতে, হ্যাকিং রোখার সবথেকে সহজ এবং কার্যকর উপায় হল ফোন রিস্টার্ট করা। সম্ভাব্য হ্যাকিং তো রুখে দেবেই, তার পাশাপাশি ফোনে যদি কোনও ভাইরাস চলতে শুরু করে তার অ্যাক্সেসও বন্ধ করে দেবে। ফলে ফোনের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাবে সাইবার অপরাধীরা। সংস্থার সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সপ্তাহে অন্তত একবার ফোন রিস্টার্ট করা উচিত।

হ্যাকিংয়ের জন্য নানা কৌশল মেনে চলেন অপরাধীরা। এর জন্য জিরো ক্লিক ম্যালিসিয়াস সফটওয়্যার ইন্সটল করা হয় ফোনে। যেখানে কোনও ক্লিক করতে হয় না। ফোনে একবার প্রবেশ করিয়ে দিলেই শেষ। এগুলো ফোনে থাকা নিরাপত্তা সিস্টেমকে বাইপাস করে, ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক বা মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল করে দেয়। পাশাপাশি ফোনের নানা মেসেজ (হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারও), ছবি ও ভিডিয়ো ফাইলে নজরদারি শুরু করে ওই ম্যালিসিয়াস অ্যাপ।

স্মার্টফোন ব্যবহারকারী যদি ফোন রিস্টার্ট করেন এবং অপারেটিং সফটওয়্যার আপডেট রাখেন, তাহলে যে ক্ষতিকর সফটওয়্যারগুলি ফোনে রয়েছে তা অচল হয়ে যাবে। তবে শুধু এটুকু করেই থামলে হবে না, তার সঙ্গে ফোনের সমস্ত সিকিউরিটি আপ টু ডেট রাখতে হবে। যা আপনি ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাবাউট ফোন অপশনে গেলেই পেয়ে যাবেন।

এছাড়া ফোন রিস্টার্ট করার পাশাপাশি অজানা ও ভুয়ো লিঙ্ক এড়িয়ে চলতে হবে। ফেসবুক, টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ক্রোম ব্রাউজারে সন্দেহজনক লিঙ্ক থেকে দূরে থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন