দীর্ঘ আড়াইমাস ধরে অস্থির আচরণ করছে দেশের শেয়ারবাজার। ধর-পাকড়ের পদক্ষেপ থেকে শেয়ারবাজারকে টেনে তুলতে কিছুটা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গেল দুই কার্যদিবসে যার সুফলও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু মাননীয় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংকট আবারও আঘাত হেনেছে শেয়ারবাজারে।
শেয়ারবাজারের এমন অস্থির আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বিনিয়োগকারীরা। দেশ কোনদিকে যায় সেদিক চিন্তা করে সাইডলাইনে রয়েছে বড় বিনিয়োগকারীরা। নিয়ন্ত্রক সংস্থার বারংবার তাগিদ ও অনুরোধের পরও মার্কেট মেকাররা রয়েছেন নিষ্ক্রিয়। ফলে সূচকে ধস নামার পাশাপাশি লেনদেনও প্রাণ নেই।
আজ ২৩ অক্টোবর চার মাসের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে ডিএসই’র সূচক। এর আগে গত ১৯ জুন ২০২৪ তারিখে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হাজার ১৬১ পয়েন্ট।
বুধবার ডিএসইর সূচক ৭১.৯৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৬৯ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে ৩২১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৫৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৩৬ কোটি ২৩ লাখ বা ১০ শতাংশ।
ডিএসইতে আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ৩০৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির দর।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক সিএএসপিআই ০.৮৩ শতাংশ বা ১২১.০১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০২.২৯ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪২ টির, কমেছে ১২৭টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৫টির। এছাড়া লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা।