17 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৪ সাংবাদিক

লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে ভবনের ছাদ থেকে লাফি দিয়ে মোস্তফা তারেক ইকবাল ওরফে রবিন পাটওয়ারী নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় চার সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সকালে নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে হুমকি, টাকা দাবি ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে রাতেই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে এই মামলায় চার সাংবাদিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন, ইত্তেফাকের সাংবাদিক জাকির হোসেন মোস্তান, যায়যায়দিনের বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, সমকালের জাকির হোসেন সুমন ও মানবকণ্ঠের শাখায়াত হোসেন জাহাঙ্গীর। তারা রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

এর আগে রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফ দেন ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা তারেক ইকবাল ওরফে রবিন পাটওয়ারী। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোস্তফা তারেক ইকবাল পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের রামগঞ্জ শাখায় জুনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মোস্তফা তারেক ইকবাল ওরফে রবিন পাটওয়ারী পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে জুনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত চার সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছিলেন। ঘটনার দিনও দাবিকৃত টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাদের চাপ সইতে না পেরে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাদের হুমকি-ধমকির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার অভিযোগ করেন, এ ঘটনার সঙ্গে ব্যাংক ম্যানেজার রহিমা বেগমও জড়িত।

রামগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল বাসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হুমকি-ধামকি ও আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় চার সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে সকালে নিহতের স্ত্রী ওই চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হুমকি-ধামকির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন