শেরপুর জেলা কারাগার চালু হয়নি এখনো। গত ৫ আগস্ট হামলা-ভাঙচুরের পর থেকে আজও কারাগারটি খালি পড়ে আছে। হামলার কারণে শেরপুর জেলা কারাগারে থাকা ৫১৮ জন হাজতির সবাই পালিয়ে যায়।
৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিকেলেই দূর্বৃত্তরা হামলা চালায় শেরপুর জেলা কারাগারে। সে সময় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করলে কারাগার থেকে পালিয়ে যায় ৫১৮ জন বন্দি।
কিন্তু ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত চালু করা সম্ভব হয়নি জেলা কারাগারের কার্যক্রম। ফলে চিহ্নিত অপরাধীরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে সমাজে। এতে সমাজে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।
কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ব্যার্থ হলেও অন্তত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪।
টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও কাল ক্ষেপণের দায় নিতে রাজি নন গণপূর্ত বিভাগ।
গণপূর্ত বিভাগ মেরামত কাজ সম্পন্ন করলেই কারাগারের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করা সম্ভব বলে জানালেন কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগারের ৫১৮ জন বন্দী পালিয়ে যায়। যার মধ্যে এপর্যন্ত ১৩০ জন বন্দী আত্মসমর্পণ করেন এবং ২২ জন কে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোন পলাতক বন্দীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।