বাংলাদেশের কঠোর সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে এমন দাবি করে বৃহস্পতিবার টুইটারে পোস্ট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলার কড়া নিন্দা জানাচ্ছি। যারা উচ্ছৃঙ্খল জনতার দ্বারা হামলা ও লুটের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে।
ট্রাম্প তার পোস্টে দাবি করেছেন যদি তিনি প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের ঘটনা ঘটত না।
তিনি অভিযোগ করেছেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্বে হিন্দুদের উপেক্ষা করেছেন।
এছাড়া ইউক্রেন থেকে শুরু করে ইসরায়েল এবং নিজেদের দক্ষিণ সীমান্তসহ সব জায়গায় বাইডেন-হ্যারিস ব্যর্থ হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার চোখের সামনে এগুলো কখনও হতো না। কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেন হিন্দুদের আমেরিকাসহ পুরো বিশ্বব্যাপী উপেক্ষা করেছেন। ইসরায়েল থেকে ইউক্রেন, আমাদের দক্ষিণ সীমান্তসহ সব জায়গায় তাদের অবস্থা যা-তা। কিন্তু আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনব।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘উগ্র বামপন্থিদের ধর্ম বিদ্বেষ থেকে আমরা আমেরিকান হিন্দুদের রক্ষা করব। আমরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব। এছাড়া (নির্বাচিত হলে) আমার প্রশাসনের মাধ্যমে ভারত এবং ভালো বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ব।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কে এগিয়ে, হ্যারিস নাকি ট্রাম্প?
যদিও ট্রাম্পের এই পোস্টের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও বাস্তবতার মিল নেই। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর ভারত থেকে দাবি করা হয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ওই সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় সাংবাদিকদের সরেজমিন প্রতিবেদন করার আহ্বানও জানান।