নদীতে মাছ শিকার করে ৪০ বছর ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন বরগুনার তালতলী উপজেলার চার বোন। অন্যান্য মৎস্যজীবীর মতো তাদেরও নিত্যসঙ্গী অভাব-অনটন। নারী হওয়ায় নাম লেখাতে পারেনি জেলে তালিকায়।
তাই নিবন্ধনের বাইরে থাকায় সরকারি অনেক সহায়তা থেকে বঞ্চিত এই ৪ বোন। জল ও জালের তিন সংগ্রামী নারীর জীবন যুদ্ধ নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বরগুনার তালতলী উপজেলার নিউপাড়া গ্রামের হাচেন মোল্লার চার মেয়ে রাহিমা, হালিমা, ফাতিমা ও জরিনা বেগম। বাবা ছিলেন দরিদ্র কৃষক। প্রায় দিন অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হতো তাদের।
অভাবের তাড়নায় চার বোনেরই হয় বাল্য বিয়ে। বিয়ের পরেও অভাব পিছু ছাড়েনি তাদের। বাধ্য হয়ে খরস্রোতা পায়রা ও আন্ধারমানিক নদীতে জাল ও বড়শি দিয়ে মাছ শিকার শুরু করেন চার বোন। সেই মাছ বিক্রি করে ছেলে-মেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দেন তারা।
তবে, বয়সের ভাড়ে নানান রোগে আক্রান্ত ৬৬ বছরের রাহিমা বেগম মাছ শিকারের শক্তি হারিয়েছেন। বাকি তিন বোন মাছ ধরেন নিয়মিত। দিনভর মাছ শিকার করে তাদের দৈনিক আয় হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। তবে, কখনো কখনো খালি হাতেও ফিরতে হয় তাদের।
সংগ্রামী এই নারীদের সরকারিভাবে বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি স্থানীয়দের। এদিকে জেলে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না করতে পারলেও তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতার কথা জানালেন বরগুনা জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো: মহসীন।
আরও পড়ুন ডেঙ্গুর কারখানা বরগুনা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল
বরগুনায় ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি
৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বৃষ্টি হতে পারে ১৪ অঞ্চলে