ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়। মূল কারণ বনের জমি বেদখল। দখলদারিত্বের ছোবলে সংকুচিত হয়ে পড়েছে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এই বন। অভিযোগ, বনের শত্রু খোদ বন বিভাগের কর্মকর্তারাই। টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে জমি লিজ দিচ্ছেন তারা। নিয়ম করে তুলছেন মাশোয়ারা।
মাত্র এক লাখ ৬০ হাজার টাকা মাশোয়ারায় বন বিভাগের জায়গায় চলছে এই ভবন নির্মাণ। এ টাকায় ম্যানেজ হয়েছেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। স্থানীয়রা বলছেন, টাকা দিলে নতুন ঘর নির্মাণ করতেও সহযোগিতা করেন বন সংশ্লিষ্টরা।
জেলার ঘাটাইলের ফুলমালিতে, বন বিভাগের ১ হাজার ৭১৬ একর জমির বেশিরভাগ অংশেই ফসল ফলাচ্ছেন কথিত লিজধারীরা। নিয়ম অনুযায়ী অবৈধ হলেও, ফসল নষ্ট না করে বছর শেষে এসবের ভাগ নিচ্ছেন বন কর্মকর্তারা। টাকার বিনিময়ে বন বিভাগের জায়গায় তৈরি হচ্ছে ডুপ্লেক্স ভবন-কারখানা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছে না বন কর্মকর্তারা। তাই ভূমিহীন ও ছিন্নমূল পরিবারগুলোকে টার্গেট করছে তারা। টাকা না দিলে বন আইনে দেয়া হচ্ছে মামলা।
জানতে চাইলে এগুলোকে থালার পাশের পড়া ভাত বলে আখ্যায়িত করলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা। জানালেন নানান সীমাবদ্ধতার কথা।
টাঙ্গাইলের ৯টি রেঞ্জের ৩৪টি বিটে মোট বনভূমির পরিমাণ এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৬ একর। বন বিভাগের হিসাবে, যার ৩৯ হাজার একর হয়েছে বেদখল। কিন্তু একেবারেই ভিন্ন বাস্তবতা।