29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে দাঁড়াতে চান জেড আই খান পান্না

সুযোগ পেলে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই করতে চান, বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীর জামিন স্থগিত নিয়ে সাংবাদিকের ব্রিফিংয়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইনজীবী পান্না বলেন, সুযোগ হলে আমি ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াবো। গণহারে মামলার সংখ্যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি সবসময় নিপীড়িতের পক্ষে আছি। সে যেই হোক না কেন। যদি সুযোগ হয় আমি শেখ হাসিনার পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়াই করব, সেটা ট্রাইব্যুনাল হোক আর অন্য যেকোনো জায়গায় হোক।

জেড আই খান পান্না বলেন, আগে ছিল গণ-গ্রেপ্তার, এখন হচ্ছে গণ-মামলা। তো গণ-মামলা হলে পরে গণ-গ্রেপ্তারও হবে। এটার ভিক্টিম একসময় আমিও ছিলাম। তবে অকল্পনীয়ভাবে গণ-মামলা চলছে। এমন এর আগে কখনো হয়নি। একই স্ক্রিপ্ট- চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, না হয় পা নষ্ট হয়ে গেছে, অথবা গুলি লাগছে একটা- কিন্তু এ জন্যে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।

জেড আই খান পান্না
ট্রাইব্যুনালে দাঁড়াতে চাওয়া জেড আই খান পান্নার পরিচয়

জেড আই খান পান্না একজন বাংলাদেশী আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী। তিনি বাংলাদেশের একটি আইনি সহায়তা সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান। পান্না বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান।

২০০৫ সালে পান্না বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পক্ষে ১৭ আগস্ট একটি আদালতে বোমা হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতার ব্যাখ্যা চেয়ে সরকারের কাছে একটি পিটিশন দাখিল করেন।

পান্না ২০১২ সালে অপারেশন ক্লিন হার্টে জড়িত নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জন্য ক্ষতিপূরণ অধ্যাদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যার ফলে এটি বাংলাদেশ হাইকোর্ট প্রত্যাহার করে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে, তিনি বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় লাভজনক পদে থাকার কারণে পদত্যাগ করার জন্য তিন মন্ত্রী, মোশাররফ হোসেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং জাহিদ মালেককে আইনি নোটিশ প্রদান করেন। তিনি ২০১৫ সালে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

২০১৮ সালের মার্চ মাসে পান্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের দ্বারা আক্রান্ত হন। ২০২০ সালে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অস্ত্র বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেন। তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার তদন্তের আহ্বান জানান।

পান্না শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং ঘাতকদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ, ১৯৭৫ পাসের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। ২০২১ সালের নভেম্বরে, পান্না আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের বিরুদ্ধে রেইন ট্রি ধর্ষণ মামলার রায়ের সমালোচনা করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে ঘটনার ৭২ ঘন্টা পরে পুলিশকে ধর্ষণের অভিযোগ গ্রহণ না করার জন্য বিচারকের পক্ষে এটি ভুল ছিল।

২০২২ সালে পান্না একজন কানাডিয়ান নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন যাকে তার বাবা-মা তাদের ঢাকার বাসভবনে জোর করে আটকে রেখেছিলেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করে পান্না ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির অবসান চেয়ে বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেন। তিনি বিচারক ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও আদালতের কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্ভূত দ্বন্দ্বের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তার মতে এই দ্বন্দ্ব বিচার ব্যবস্থার ক্ষতি করছে। তিনি একটি মাদক মামলায় পরীমনির প্রতিনিধিত্ব করেন।

টিএ/

দেখুন: ট্রাইব্যুনালে যা বললেন, যা করলেন পলক,আনিসুল,দীপু মনিরা

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন