আবারও টানা পতনের কবলে দেশের শেয়ারবাজার। বিনিয়োগের বৈরি পরিবেশের কারণে বাজারে বাড়ছে না তারল্য। পতন যত ঘনিভূত হচ্ছে তত নি:স্বতার পথে যাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে মন্দের ফাঁকে মুনাফা বের করছে কেউ কেউ।
টানা পতনে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে উঠছেন বিনিয়োগকারীরা। আন্দোলনের পর কিছুদিন বাজার ইতিবাচক আচরণ করলেও চলতি সপ্তাহ কেটেছে হতাশায়। ফোর্সসেলের আওতায় এসেছেন বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীর জন্য বর্তমান শেয়ারবাজার সর্বনাশের আচরণ করলেও কারো কারো জন্য চলছে পৌষমাস।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন নিয়ে নানা সমস্যা তৈরি হলেও ডোন্ট কেয়ার স্টাইলে বাড়ছে শেয়ার দর। ৯ টাকার শেয়ার বছর না ঘুরতেই পৌছে যায় ২৩১ টাকায়। পরবর্তীতে শেয়ার পার্কিংয়ে দর কমলেও বৃহস্পতিবারের দর বৃদ্ধি পেয়ে অবস্থান করছে ১৫৪ টাকায়।
শীত মৌসুমে আইসক্রিম কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে নেতিবাচক প্রভাব থাকলেও উল্টোরথে তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম। চলতি বছরে জানুয়ারি শেষে ২৯ টাকা থেকে শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়ে ৬ মাসে পৌছায় ১০৬ টাকায়। এছাড়া দুর্বল লোকসানি কোম্পানি হওয়া স্বত্ত্বেও সম্প্রতি জুট স্পিনার্সের শেয়ার দর বাড়ছে চোখে পড়ার মতো।
তারল্য সংকটের পাশাপাশি চলমান মুদ্রা বাজারের নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে বাজারে।
নানা মহলের নানা সমস্যা ও তার সমাধানের কথা উঠে আসলেও তাল ছাড়া এক প্রকার বেতালে চলছে বর্তমান শেয়ারবাজার। বিনিয়োগকারীদের হাঁহাকার ও নিরব অশ্রু আর কতোকাল বয়ে বেড়াতে হবে এমন প্রশ্ন ক্ষতিগ্রস্তদের।
টিএ/