19 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

সংস্কারের আগে নির্বাচন কমিশন, প্রশ্ন থেকে গেল

রোববার বাংলাদেশের নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) ও চারজন কমিশনারের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

“নতুন ইসিদের কথা কম বলে কাজ বেশি করতে হবে,” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

একাধিক জাতীয় দৈনিক জানায়, বিএনপি ও জামায়াতের প্রস্তাবিত নাম থেকেই সিইসিসহ কমিশনের একাধিক সদস্যকে নিয়োগ দেয়া হয়।

দেখুন: উপর মহলের ‘সিগন্যাল’ পেলেই পদত্যাগ করবে নির্বাচন কমিশন

এবার এই কমিশন গঠনকে কেন্দ্র করে বিগত বছরগুলোর মতো রাজনৈতিক কোন বিতর্ক দেখা যায়নি। তারপরও এর গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকে গেলো বলে মনে করছেন অনেকে।

অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল নতুন কমিশনের ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছে।

দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল একটি কর্মসূচি শেষে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনি ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে। আমরা নতুন কমিশনের উপর আস্থা রাখতে চাই”।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন সংস্কার কমিশন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হলে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে বলে জানান স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ।

শনিবার ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় ‘আগের সরকারের সময়কার মতো চর্চ্চাই’ দেখা গেছে উল্লেখ করে এর সমালোচনা করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।

সেকারণে ‘আস্থার জায়গায় একটু ঘাটতি ও প্রশ্ন থেকে গেলো” বলে মতামত দিয়েছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক মুনিরা খান।

তবে, রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে গঠনপ্রক্রিয়া যেমনই হোক ভালো নির্বাচন করা সম্ভব বলে মনে করেন আরেকজন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আবদুল আলীম।

জনাব আলীম নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরও সদস্য। ইসির জন্য রাজনৈতিক দলগুলো “আরেকটু ধৈর্য ধারণ করলে ভালো হতো” বলে অভিমত তার।

দেখুন: তাহলে কী সস্পর্কে ফাটল ধরলো বিএনপি সমন্বয়কদের? | Nagorik TV Special

আরও: সব সংস্কার শেষে নির্বাচন চান ৬৫.৯% মানুষ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন