নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলাম ও স্থানীয় মুসল্লিদের আপত্তিতে বন্ধ হয়ে গেছে লালন ‘মহতী সাধুসঙ্গ ও লালন মেলা’ নামের একটি অনুষ্ঠান। ২২ ও ২৩ নভেম্বর (শুক্রবার ও শনিবার) এই অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় এই মেলা বন্ধ হয়ে যায়।
মেলায় অংশ নিতে কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লালন ভক্তরা এই মেলায় অংশ নিতে আসলেও শেষ পর্যন্ত সবাইকে ফিরে যেতে হয়েছে।
খুব বেশিদিন না হলেও গত প্রায় দশ বছর ধরে নিয়মিত এই মেলা ও অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে আসছে।
হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য
অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়া নিয়ে হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য হলো, লালন মেলার নামে ‘অপসংস্কৃতির’ চর্চ্চা হতো বলেই এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অনুরোধে জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানটি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জের নেতা আব্দুল আউয়াল গণমাধ্যমকে বলেন, “ওখানে মেলার নাম করে কিছু সংস্কৃতি আছে, যেটা মেনে নেয়া না”।
এই আয়োজনটি বন্ধের পর নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক কর্মীরাও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বিষয়টিকে জেলা প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন।
যদিও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, “এই অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা যদি বন্ধ করা না হতো পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যেতো”।
দেখুন: নারায়ণগঞ্জে উৎপাদনে ফিরেছে পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান | Nagorik TV
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানার আগুন ১২ ঘণ্টায়ও নেভেনি