নতুন নির্বাচন কমিশনে বিএনপির আস্থা নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা রয়েছে। বিএনপি নেতারা বলছে এর মাধ্যমে দেশ গনতন্ত্রে প্রবেশ করল। তবে তাদের আশা কমিশন দ্রুত নির্বাচনী সংস্কার শেষ করে ভোটের ব্যবস্থা করবেন।
বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে দেশে নির্বাচনী কোন ব্যবস্থা ছিলনা দাবি করে বিএনপি দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশী সময় ধরে ভোটের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তবে তারা সেসব আন্দোলন সফল করতে পারেনি।
গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভুথ্যানের পর আওয়ামী সরকারের পতন হয়। গঠিত হয় অন্তর্বতীকালীন সরকার। সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি ও তাদের মিত্রদলগুলো নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে আসছে।
অন্তর্বতী সরকার গঠনের একমাস যেতে না যেতেই ৫ সেপ্টেম্বর কাজি হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করেন। যার দেড় মাস ধরে নির্বাচন কমিশন শূন্য থাকার পর নতুন নির্বাচন গঠন করা হয়।
জানা যায় নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত অনুসন্ধান কমিটি বিএনপি জামায়াত সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নাম নেয়। তবে আওয়ামীলীগ ও তাদের সমমনা দলগুলোর কাছ থেকে নাম নেয়া হয়নি।
সুত্র বলছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বিএনপির দেয়া দুজনের নামের প্রস্তাব করেছিল তার মধ্যে গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান এ এ এম নাসির উদ্দিনের নাম ছিল।
নতুন এ নির্বাচন কমিশন গঠনে কিভাবে দেখছে বিএনপি? দলটির নেতারা নাগরিক টিভিকে বলেন,তাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে এ কমিশনের প্রতি। এদের এখন উচিত হবে দ্রুত নির্বাচনের পথে হাটা।
অবশ্য বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জোট গনতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছেন প্রত্যাশিত কিছু দেখছেন না তারা। তবে তারা মনে করেন এখন নির্বাচনের প্রক্রিয়া কি হবে তা দেখার অপেক্ষায় আছেন তারা।
নেতারা বলছেন নির্বাচনের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ অনাস্থা তৈরী হয়ে তা কাটিয়ে উঠতে নির্বাচন কমিশনকে সক্ষম হতে হবে। এমনি একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দেখতে চান তারা।
টিএ/