পুর্ব বাড্ডা এলাকায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্যবাহী গাড়ি। পেছনে ছুটছেন ১০-১২ জন। যখন গাড়িটি নির্ধারিত জায়গায় থামলো, তখন ক্রেতা জড়ো হলো ৪০ জনের মত।
এরপর তাড়াহুড়ো। লাইন বুঝে পেয়েই ক্রেতারা অন্যদের ফোন দিচ্ছেন।
লাইনে যারা দাঁড়িয়ে আছেন পোশাক-আশাক বেশ ভালো। মনে হয়নি নিম্নবিত্ত মানুষ। কেউ বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা, ঐ দোকানের মালিকও দাঁড়িয়েছেন ওই লাইনে। সঙ্গে কয়েকজন কর্মচারী।
উনার নিজের বাড়ি আছে। শুরুতে টিসিবির গাড়ি আসার সময় সেখানে ক্রেতাদের লাইনে সিরিয়ালের টোকেন দেন ঐ এলাকার মুদি দোকানি। পণ্যের দামের চেয়ে লাজলজ্জা ফেলে সবাই টিসিবির পণ্য নেয়। অনেকে খোঁজ পেলে ড্রাইভার-কাজের লোক দিয়ে পণ্য নিয়ে যায়।
পূর্ব বাড্ডায় ১১০ জন পুরুষ ও ১৫০ জন নারীকে টোকেন দিয়েছেন। এরপর টিসিবির ডিলার পণ্য বিক্রি শুরু করেছেন। এরপরও আর কারও পণ্য কেনার সুযোগ ছিল না। টিসিবির ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন অনেকে।
টিসিবির সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর ৫০টি স্থানে এভাবে ফ্যামিলি কার্ড ছাড়া বিশেষ ট্রাকসেলে পণ্য বিক্রি করে টিসিবি। প্রতিটি ট্রাকে ৩৫০ জনের জন্য পণ্য থাকে। তবে অধিকাংশ জায়গায়ই এর চেয়ে ১০০ থেকে ১৫০ জন বেশি মানুষ উপস্থিত থাকে। যাদের পণ্য দেওয়া যায় না।
এসব পণ্যের মধ্যে প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০, চাল ৩০ টাকা ও আলু ৪০ টাকায় কেনা যায়। এই চার পণ্য কিনতে একজন গ্রাহককে দিতে হচ্ছে ৫৯০ টাকা। খুচরা বাজার থেকে এসব পণ্য কিনতে লাগে প্রায় ১ হাজার টাকার মতো। অর্থাৎ টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনলে অন্তত ৪শ টাকার বেশি সাশ্রয় হয়।
আরও পড়ুন: শুল্ক ছাড়ের সুবিধা, বাড়ছে মূল্যস্ফিতি, চাপে মানুষ