চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল হোসেন বিদ্যুৎকে (২৮) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত নয়টার দিকে শহরতলীর দৌলতড়িয়াড়ে মাথাভাঙ্গা ব্রিজ সংলগ্ন বজলুর চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহত বিদ্যুৎ দৌলতদিয়াড় মোহর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাতে বিদ্যুৎ বজলুর চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এসময় কয়েকজন যুবক সেখানে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় বিদ্যুৎকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।
গুরুতর আহত হওয়ায় সদর হাসপতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় হাসপাতালে এসে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন। এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। রাত ১১টার দিকে বিদ্যুৎকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে সদর হাসপতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।
বিদ্যুতের ঘনিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, একটি ত্রিভূজ প্রেমঘটিত বিষয়ের মীমাংসা করেছিলেন বিদ্যুৎ। তবে মীমাংসার ফল বিপরীতে যাওয়ায় রাগান্বিত হয়ে একই এলাকার তিব্বত ওরফে মেন্টাল তমাল, আকাশ ও রবিনসহ কয়েকজন যুবক কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল হোসেন বিদ্যুৎকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়কের বক্তব্য
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফয়সাল ইকবাল বলেন, ‘কলেজ ছাত্রদলের একজন কর্মীর প্রেমঘটিত একটি বিষয়ের মীমাংসার জন্য বিদ্যুতের সঙ্গে বসেছিল দুটি পক্ষ। মীমাংসা মনপুত না হওয়ায় একই এলাকার আকাশ, মেন্টাল তমাল, রবিনসহ কয়েকজন তাকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে শুনেছি। এরা যুবলীগের কর্মীও ছিল।’র
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি, অপারেশন) হোসেন আলী বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’