21 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪
বিজ্ঞাপন

প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি ঘোষণায় সাব কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

রাজধানীর হেয়ার রোডে অবস্থিত শতবর্ষী প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করা নিয়ে সুপারিশ করতে একটি সাব কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় প্রধান বিচারপতি বাসভবন নিয়ে ভিডিও প্রেজেনন্টশন করা হয়। এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা উল্লেখ করে এক বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনাটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন।

সে উদ্যোগের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করেন প্রধান বিচারপতি। ঐ সভায় ভবনটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করে তা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত হয়।

বিচার ব্যবস্থাভারত মিথ্যা মামলার ফাঁদ থেকে পরিত্রাণ নেই

ভবনটির ইতিহাস ও স্থাপত্যশৈলি তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ঢাকাকে পূর্ববঙ্গ ও আসামের রাজধানী করার পর উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য যেসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল, সেসব ভবনের একটি হচ্ছে হেয়ার রোডের প্রধান বিচারপতির বাসভবন।

মোঘল ও ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলির মিশ্রণে ১৯০৮ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের পর ভবনটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্দেশে ব্যবহৃত হলেও পঞ্চাশের দশক থেকে ভবনটি প্রধান বিচারপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পুরাকীর্তি আইন ১৯৬৮ অনুসারে ভবনটির মালিকানা ও ব্যবহারের স্বত্ব সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে রেখে সংরক্ষণ করা হলে তা জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। ১১৬ বছরের পুরোনো স্থাপনাটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করা হলে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এর ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে স্থাপনাটির গুরুত্ব ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

দেখুন: বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় রোড ম্যাপ প্রধান বিচারপতির | Nagorik TV

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন