18 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্মরণীয় জয় বাংলাদেশের

১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্মরণীয় জয় পেলো বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ক্যারিবিয়ানদের ১০১ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষে করলো বাংলাদেশ। মিরাজ বাহিনীর দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮৫ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। এই জয়ে ১৫ বছর পর উইন্ডিজে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জয়ের আক্ষেপ মিটল লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

হার দিয়ে উইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ শুরু করা বাংলাদেশের সামনে ছিল না জয়ের বিকল্প। অ্যান্টিগায় পিছিয়ে পড়লেও জ্যামাইকা টেস্টে ঠিকই পেরেছে মিরাজ বাহিনী। তাইজুলের ঘূর্ণিতে ১০১ রানে হারলো ক্যারীবিয়রা। সেই সাথে ঘুঁচলো ১৫ বছরের আক্ষেপ। এই জয়ে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ।

৫ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। শুরুতেই আলজারি জোসেফের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৪ রান করা তাইজুল। ততক্ষনে স্কোরবোর্ডে টাইগারদের সংগ্রহ ২০৭। পরের ওভারে শূন্য রানে মুমিনুল ফেরেন। ৮০ বলে টেস্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার জাকের। দলীয় ২৪৬ রানে আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে ৯১ রান করে সাজঘরে ফেরেন জাকের। ইনিংস শেষ হয় ২৬৮ রানে।

স্বাগতিকদের জন্য লক্ষ্যটা ছিল ২৬৯ রান। এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম ওভারে তাইজুলের স্পিনে প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। মাত্র ৬ রান করেই সাজঘরে ফেরেন লুইস। এরপর কাসি কার্টিকে ১৪ রানে আউট করে জয়ের স্বপ্ন দেখান তাসকিন। তবে কেভাম হজ ও ক্রেইগ ব্রাফেটের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা ছিল উইন্ডিজের। ৪৩ রান করা ব্রাফেটকে আউট করার পর অর্ধশত করা হজকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায় তাইজুল।

এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পরে ধস নামে স্বাগতিক শিবিরে। নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে উইন্ডিজদের উইকেট। তাইজুলের ঘুর্ণির সামনে ভীত গড়তে পারেনি স্বাগতিক ব্যাটাররা। উইকেটের আসা-যাওয়ার মিছিলে প্রথম ইনিংসে শতক হাকানো গ্রেভস কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও সেই পথে বড় বাধা হয়ে দাড়ায় তাসকিন। শেষ পর্যন্ত নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানে থামে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস। জয় নিয়ে মেতে ওঠে টাইগাররা।

দেখুন: ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন