নভেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) হিসাবে, নভেম্বর মাসে সামগ্রিক ভাবে বেড়েছে দ্রব্যমূল্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঘাতক কতটা নির্মম, তা সবচেয়ে বেশি টের পাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
গত তিন বছর, বাজার যেন অসহনীয় মানুষের কাছে। কারণে-অকারণে বেড়েছে অনেক পণ্যের দাম, জীবন যাত্রার খরচ সামাল দিতে গিয়ে অনেকে হিমশিম খাচ্ছে। পরিস্থিতি এমন, টোকা দিলেও, গরীব মানুষের সংখ্যা যেন বেড়ে যাবে অনেকটা।
অন্তবর্তী সরকার, দায়িত্ব নিয়েছে চার মাস প্রায়। তারা, বাজারে শৃংখলা আনা, করছাড়, নীতি সহায়তা ও সুদ হার বাড়িয়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি থেকে রেহাই দিতে চেষ্টা করেছে, তবে বাজার বাস্তবতা নিয়ে খারাপ সংবাদ দিলো বিবিএস। সংস্থাটির হিসেবে, বিদায়ী মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ।
উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে বলা হয় নীরব ঘাতক। অর্থনীতির এই পাপ যে কতটা নির্মম, তা হারে হারে টেন পান নিম্ন আয়ের মানুষ, কারণ তাদের আয়ের বড় অংশ চলে যায়, জীবন যাত্রার ব্যয় সামাল দিতে গিয়ে। বিশেষ করে, খাদ্য পণ্যের দাম বাড়লে তাদের কষ্ট আরও বেশি। অথচ, খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় ১৪ শতাংশ।
শীতের এই সময়টায় বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়ে, তাই মূল্যস্ফীতিতে লাগাম পড়ার কথা। কিন্তু, বাজার বাস্তবতা অনেকটা ভিন্ন। তবে, খা্দ্য পণ্যের সঙ্গে বেড়েছে খাদ্য তালিকার বাইরে থাকা জিনিসপত্রের দামও।
এনএ/