19 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করে তীব্র সমালোচনার মুখে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। টেলিভিশনে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি ক্ষমা চান।শনিবার ( ৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারি করার পর বিরোধিতার মুখে পড়েন ইউন। এ কারণে দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আইনপ্রণেতারা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন জারির ঘোষণা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।

সামরিক আইন জারির ঘোষণা

জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে সামরিক আইন জারির ঘোষণার বিষয়ে ইউন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেকটা মরিয়া হয়ে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। তাদের অসুবিধায় ফেলেছিল। এ জন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’

প্রেসিডেন্ট উইন আরও বলেন, ‘এই ঘোষণার ফলে যেকোনো আইনি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির দায় আমি এড়াতে পারি না। মানুষের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে যে আরেকবার সামরিক আইন জারি করা হবে কি না; তবে আমি আপনাদের স্পষ্টভাবে এটা বলতে পারি যে অবশ্যই না…আরেকবার সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেওয়া হবে না।’

এদিকে ইউনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গতকাল শুক্রবার দফায় দফায় জরুরি বৈঠক করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো। প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে আজ শনিবার দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে।

সামরিক আইন জারির পর এটা অনুমান করা হয়েছিল যে ইউন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। তার পদত্যাগের আশঙ্কাও ছিল। কিন্তু পদত্যাগের ঘোষণা না দিয়ে বরং দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য তার ক্ষমতাসীন দলের ওপর দায়িত্ব অপর্ণের কথা জানান প্রেসিডেন্ট। ভাষণে অভিশংসন নিয়ে কথা বলেননি ইউন। 

ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন। সামরিক শাসন জারির পর বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিসংশনের ডাক দেয়ার পর বুধবার (৪ নভেম্বর) পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

আরও: আলোচনায় দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা ‘এক্সহুমা’

দেখুন: নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার পর দাদাগিরির শেষ মাঠটাও হাতছাড়া ভারতের

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন