সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ভাগ্য নির্ধারণ আজ।
২০১১ সালের ৩০শে জুন আওয়ামী লীগ সরকার সংসদে পাশ করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী। যেখানে ছোট বড় সব মিলিয়ে এ ৫৫ টি সংশোধনী আনা হয়।
পঞ্চদশ সংশোধনীর ভাগ্য নির্ধারণ:
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল। অংসাবিধানিক ভাবে রাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহন কে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ হিসেবে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান ও রাখা হয়।
আগের সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বিধান থাকলেও পঞ্চদশ সংশোধনীতে তা করা হয় মেয়াদ শেষের পূর্ববতী ৯০ দিনে।
এছাড়া এ সংশোধনীতে জাতির পিতা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে।আর মহান জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে ৫০ এ উন্নীত করা হয়।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত ১৮ আগস্ট সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।
রিটে বলা হয় পঞ্চদশ সংশোধন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।এ সংশোধনী গনতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছে।
শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরিফ ভূঁইয়া। এই রুলের শুনানিতে বিএনপি, জামায়াত কয়েকটি দল পক্ষভুক্ত হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে রুলের শুনানি অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৫ ডিসেম্বর রুলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য্য করে।আর কিছুক্ষণ পরেই হয়ত জানা যাবে পঞ্চদশ সংশোধনীর ভাগ্য।এই ছিলো কোর্ট থেকে সার্বিক অবস্থা।
টিএ/