পৌষের শুরুতেই দেশের তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রির ঘরে। চলতি সপ্তাহে, তাপমাত্রা আরও কমার আভাস রয়েছে। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে উত্তরের জনজীবন।
উত্তরের জেলা হিমালয় কন্যা ক্ষেত পঞ্চগড়ে, পৌষের শুরুতেই জেঁকে বসেছে শীত। উত্তর-পশ্চিম থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিম বাতাসে, জেলায় তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রির ঘরে, বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির।
তীব্র ঠাণ্ডায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন মানুষ। দুপুরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে, শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। কষ্টে দিন পার করছেন জেলার হতদরিদ্র মানুষ।
পৌষের শুরুতেই তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি, বিপর্যস্ত জনজীবন:
ক্রমেই কমছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরের তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে কুয়াশা কম থাকলেও, হিমেল বাতাসের উপস্থিতি শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে বাড়তে থাকে ঠান্ডা।
সকালে সূর্য উঠলেও তাপমাত্রা একেবারেই কম। মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হাড় কাঁপানো শীতে টানা চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা ও ঠাকুরগাও জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে, ঘনকুয়াশার দাপট কমে যাওয়ায় সকাল সকাল দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদের। এতে, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
শীতের কারণে কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
টিএ/