সুপ্রিম কোর্ট নিছক একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি ন্যায়বিচারের মূর্ত প্রতীক, নির্যাতিতদের আশার আলো ও সংবিধানের কণ্ঠস্বর বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে বুধবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগের প্রশাসনিক বিষয়গুলো যেন নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণে না থাকে সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় এখন আর নিছক আকাঙ্খা নয়, এটি জরুরি প্রয়োজন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ঐতিহাসিক ষোড়শ সংশোধনী মামলা নিষ্পত্তির পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসনের অঙ্গীকার নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সংসদের অযাচিত প্রভাব থেকে বিচার বিভাগের অখণ্ডতাকে রক্ষা করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট ন্যায়বিচার, ন্যায়পরায়ণতা এবং সাংবিধানিক শাসনের প্রাচীর হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, যুগান্তকারী রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট শুধু সংবিধানকে রক্ষা করেনি বরং জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে। মৌলিক অধিকারের পবিত্রতা রক্ষা থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট নিপীড়ন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে কাজ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট নিছক একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি ন্যায়বিচারের মূর্ত প্রতীক। নির্যাতিতদের আশার আলো ও সংবিধানের কণ্ঠস্বর। এটির মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
সুপ্রিম কোর্ট দিবস উদযাপন সংক্রান্ত জাজেস কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট দিবস উদযাপন সংক্রান্ত জাজেস কমিটির সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শেষে সবাইকে নিয়ে কেক কেটে সুপ্রিম কোর্ট দিবস উদযাপন করেন প্রধান বিচারপতি।
টিএ/