বার্ধক্যে মানুষ একাকিত্বে সময় পার করে থাকেন। আর মানুষের জীবনের মানসিক সংকট ও বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয় একাকিত্বকে। এই একাকিত্বের সংকটে সবচেয়ে বেশি পড়তে হয় প্রবীনদের । বস্তুবাদী স্বার্থপর এই পৃথিবীতে জেনারেশন গ্যাপের চিন্তার দ্বন্দ্বের কারণে অনেক প্রবীনদেরকে যেতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে।
এসব সংকট থেকে বাঁচতে বৃদ্ধাশ্রমের বিকল্প হিসেবে পঞ্চাশোর্ধ বন্ধুদের নিয়ে আলাদাভাবে একটি পল্লী গড়তে চায়, যেখানে থাকবে না ভেজাল খাবার, যান্ত্রিক কোলাহল আর বায়ুদূষণ। এ পল্লীতেই সুখে-শান্তিতে জীবনের শেষ সময় পার করতে চান তারা। এধরনের নানা সংকটের পর অবশেষে বাস্তবায়ন হয় তাদের সেই স্বপ্নের ‘সবুজসাথী আবাসন প্রকল্প’।
এমন গল্প নিয়ে গতকাল ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়েছে এসএসসি ১৯৮২ সালের ব্যাচের ফেইসবুক গ্রুপ “SSC 1982 Bangladesh” এর “বিরাশিয়ান” নাট্য গোষ্ঠীর নাটক “সবুজ সাথী আবাসন প্রকল্প” । ১৯৮২ সালে এসএসসি পাস করা বন্ধুদের সংগঠন বিরাশিয়ান নাট্যচর্চার লক্ষ্যে বিরাশিয়ান নাট্যগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করে। বিরাশিয়ান নাট্যগোষ্ঠীর প্রথম প্রযোজনা ‘সবুজসাথী আবাসন প্রকল্প’-এর প্রথম প্রদর্শনী এটি। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দিন সুমি এবং প্রযোজনা করেন ফিরোজ আহমেদ।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন বিরাশিয়ান জহিরুল হক হিরু, লায়ন হাবিব, রেবেকা সুলতানা, জিনাত গাজী, শংকর মৈত্র, গজনবী খান, এম. জামান, হুমায়ুন কবীর, মাহবুব, অ্যাডভোকেট নসরুল্লাহ, আলতাফ, এস এম আজাদ হোসেন প্রমুখ।
নাটকটি প্রদর্শনীর সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী এস. ডি রুবেল এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসএসসি ১৯৮২ সালের ব্যাচের ফেইসবুক গ্রুপ “SSC 1982 Bangladesh” এর ক্রিয়েটর রহমান রোমিও এবং দর্শকদের সারিতে ছিলেন এসএসসি ১৯৮২ ব্যাচের (বিরাশিয়ান) শিক্ষার্থীরা এবং তাদের বন্ধু ও আত্মীয়স্বজন।
নাটক ও অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়করী ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এনালিসট, (আইটি চীফ), প্রকৌশলী মোঃ মনজুরুল কবীর জানান, এই নাটক মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে ৪১ বছর পর এসএসসি ১৯৮২ ব্যাচের অনেক বন্ধুদের সাথে অনেক দেখা হয়েছে যা “বিরাশিয়ান”দের মিলনমেলার রূপ ধারন করে, তারা এই আয়োজনে দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। বন্ধুত্বের মিলন মেলা ও প্রবীন বয়সে একাকীত্ব মোচনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম সব সময় চালিয়ে যাবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন জনাব মোঃ মনজুরুল কবীর।
টিএ/