16 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪

ব্রাজিলে আটক আর্জেন্টিনার চার নারী ফুটবলার

নারী ফুটবলের প্রচার ও উন্নতির লক্ষ্যে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল লেডিস কাপ প্রীতি টুর্নামেন্ট। যেখানে রিভার প্লেট ও গ্রেমিওর বিপক্ষে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এদিন ম্যাচ শেষে বর্ণবাদের অভিযোগে আর্জেন্টিনার চার নারী ফুটবলারকে আটক করা হয়েছে।

গত ২১ ডিসেম্বর ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হলেও রেফারি জয়ী ঘোষণা করেন গ্রেমিওকে। কারণ, রেফারি ছয়জন রিভার প্লেট খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখান। তাই খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ন্যূনতম সংখ্যক খেলোয়াড় আর ছিল না দলটির।

ম্যাচটি প্রথমার্ধে বন্ধ হয়ে যায় রিভার প্লেটের ক্যান্ডেলা দিয়াস একজন বল বয়কে বানরের অঙ্গভঙ্গি করার পর। ম্যাচের ফুটেজ এবং স্থানীয় মিডিয়ার প্রতিবেদনে ঘটনাটির সত্যতা মেলে। গ্রেমিওর বিবৃতিতে দাবি করা হয়, তাদের খেলোয়াড়দের এবং বল বয়দের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করেছে রিভার প্লেটের খেলোয়াড়রা।

বল বয়কে দিয়াসের করা সেই বানরের অঙ্গভঙ্গির পরে প্রতিবাদ জানায় গ্রেমিওর খেলোয়াড়রা। দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। রেফারি ছয়জন রিভার প্লেট খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখান। ম্যাচটি এরপর তিনি শেষও করে দেন, কারণ খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ন্যূনতম সংখ্যক খেলোয়াড় আর ছিল না দলটির। পরে ক্যান্ডেলা দিয়াস, কামিলা দুয়ার্তে, হুয়ানা কানগারো এবং মিলাগরোস দিয়াজকে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগে আটক করে পুলিশ।

ব্রাজিলের আদালত গতকাল এই চার খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে প্রিভেনটিভ ডিটেনশনের নির্দেশ দিয়েছেন। সাও পাওলো জননিরাপত্তা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আদালত তাদের ব্রাজিল ছাড়তে বাধা দিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে টুর্নামেন্ট কমিটি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। রিভার প্লেট দলকে টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কার এবং আগামী দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কমিটির বিবৃতিতে জানানো হয়, টুর্নামেন্টের ভাবমূর্তি রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রিভার প্লেট ক্লাব এক বিবৃতিতে খেলোয়াড়দের বর্ণবাদী আচরণের নিন্দা জানিয়েছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। তারা খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছে। তবে তাদের আইনজীবী থিয়াস সানকারির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

টিএ/

দেখুন: ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা-ভূমিধ*স, নি*হত ৩৬

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন