29 C
Dhaka
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

আজও কুয়াশা কমার সম্ভাবনা নেই, শৈত্য প্রবাহ চলছে দেশের ছয় স্থানে

গতকালের মতো আজও শুক্রবার ছুটির দিনে কুয়াশায় ঠেকে আছে রাজধানীর আকাশ। এ চাড়াও দেশ জুড়ে রয়েছে ঘন কুয়াশার দাপট।শীতের তীব্রতাও বেড়েছে।শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে দেশের অন্তত ছয় স্থানে। আজ সারা দিনে কুয়াশা কমার তেমন লক্ষণ নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর সুত্র।

 দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে গত ৩১ডিসেম্বর থেকেই। কমে গেছে তাপমাত্রা আর তাতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। তবে রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে কুয়াশা পড়তে শুরু করে গতকাল।

গতকালের মতই রাজধানীতে আজকের তাপমাত্র ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গতকাল থেকে রোদ না ওঠায় শীতের অনুভূতি অনেকটাই বেড়েছে।

উত্তরে পারদ নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে, জবুথবু জনজীবন

গতকাল বিশেষ করে দেশের উত্তর জনপদে এমন কুয়াশা পড়ে যে দিনেও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। রাজধানীতে এদিন একবারের জন্য সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে আজও  কুয়াশা কেটে সূর্যের মুখ দেখার সম্ভাবনা কম রাজধানীতে। তবে আগামীকাল শনিবার থেকে তাপমাত্রা খানিকটা বাড়তে পারে।

এদিকে ঘন কুয়াশার মধ্যে আজ দেশের কয়েকটি স্থানে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। এর মধ্যে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সকাল ৯টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এ শহরে তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের আরেক জনপদ কুড়িগ্রামের রাজারহাটের তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় আজকের তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৮, নওগাঁর বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৫।

তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামলো ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামে, তবে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, গতকাল থেকে যে ঘন কুয়াশা বিভিন্ন স্থানে পড়তে শুরু করেছে, একে বলে পরিচালন কুয়াশা। ভারতের দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে এক দীর্ঘ কুয়াশার চাদর বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতেও দেশে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কুয়াশা পড়েছিল।

এনএ/

আরও পড়ুন: আজ যেসব এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

দেখুন: তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামলো ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন