উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানের একটি হাসপাতালে ভয়াবহ ড্রোন হামলায় ৬৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। শুক্রবার ঘটনাটির সূত্রপাত ঘটে। শনিবার রাতে পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সংগঠিত এ হামলায় দারফুর অঞ্চলের ওই হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে ৩০ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে পৌঁছায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশারের সর্বশেষ যে কয়েকটি হাসপাতাল কার্যকর রয়েছে, তার একটিতেই এই ড্রোন হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৩০ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হলেও পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে পৌঁছেছে।
দেশটির আঞ্চলিক গভর্নর মিনি মিনাউই শনিবার তার আগের একটি অ্যাকাউন্টে রক্তাক্ত মৃতদেহের গ্রাফিক ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, এই হামলায় নারী ও শিশুসহ ৭০ জনেরও বেশি রোগীকে ‘নিঃশেষ’ করা হয়েছে। এদিকে সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে কোন পক্ষ এই হামলা চালিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার বোঝা যায়নি।

প্রসঙ্গত, দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে সুদানে।
আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের সাথে যুদ্ধ করছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় বিশাল অঞ্চল দখল করেছে।
এছাড়া, আরএসএফ গত বছরের মে মাস থেকে উত্তর দারফুর প্রদেশের রাজধানী এল-ফাশারও অবরোধ করে রেখেছে, কিন্তু সেনাবাহিনীর সমন্বিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বারবার তাদের যোদ্ধাদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছে এবং শহরটি দখল করতে বাধা দিয়েছে।
এমন অবস্থার মাঝেও এল-ফাশারে স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর ওপরও আক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসা প্রদানকারী দাতব্য চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হামলার শিকার সৌদি হাসপাতালটি এখনও পর্যন্ত একমাত্র সরকারি হাসপাতাল, যেখানে অস্ত্রোপচারের সক্ষমতা রয়েছে।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশজুড়ে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। সুদানে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। ১ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
পড়ুন:মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ জনক গ্রেপ্তার
দেখুন:রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক যু*দ্ধ হলে যা হবে! | Nagorik TV
এসএম/