তিস্তা নদীতে পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে চলমান অবস্থান কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে লালমনিরহাট সহ রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় তিস্তার ১১টি ভেন্যু জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। সারারাত ধরে আন্দোলনকারীরা তিস্তাপাড়ে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও প্রতিবাদী কার্যক্রমে অংশ নেন।
আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। তিস্তা সড়ক সেতু থেকে শুরু হয়ে কাউনিয়া উপজেলা পর্যন্ত দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয় এই পদযাত্রা। এতে নেতৃত্ব দেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

পদযাত্রায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, তিস্তা তীরবর্তী গ্রামবাসী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। পথযাত্রা শেষে অংশগ্রহণকারীরা তিস্তা নদীতে নেমে প্রতীকী নদী পারাপার করেন, যা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দাবির প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিস্তায় চর জাগার ফলে ফসলহানি, পানি সংকট এবং বর্ষায় ভয়াবহ বন্যার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় লাখো মানুষকে। এ অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে তারা তাদের দুর্দশার কথা আরও একবার তুলে ধরলেন।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনে অংশ নেওয়া মানুষজন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। যতদিন পর্যন্ত তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান সমন্বয়কারী।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমাপনীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুইদিনব্যাপী তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের অবস্থান কর্মসূচি।
এনএ/