গাছে গাছে সোনালি হলুদ রঙের আমের মুকুলের মনকাড়া ঘ্রাণ, চারদিকে ম-ম গন্ধ ভেসে আসছে। আমের ভালো ফলন পেতে, বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। মৌমাছি আর ছোট পাখির দল মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে। এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগানগুলোতে।
শুধু আমের মুকুলই নয় সঙ্গে গুটি আমের দেখাও মিলছে। আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম চাষীরা।

থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আম গাছের ডালপালাগুলো। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এর সুবাস। শহর থেকে গ্রামগঞ্জে সর্বত্র আম গাছগুলো হলদে রঙে সেজেছে এক অপরূপ সাজে।
আম চাষিরা বলছেন, প্রাকৃতিতে এবার আগেভাগেই আম গাছে মুকুল অন্যরকম আবহ নিয়ে এসেছে। সঠিক পরিচর্যা আর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে আমের উৎপাদন বাড়ছে। তবে ভালো ফলনের আশায় গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার স্বপ্ন দেখছেন তারা। যদিও শঙ্কা আছে বাজারে ন্যায্যমুল্য পাওয়া নিয়ে।
এদিকে গত কয়েক বছর ধরেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব পড়েছে এ জেলার আমশিল্পে। চাষীরা পাচ্ছেন না কাঙ্খিত দামও। এ অবস্থায় চলতি মৌসুমে আমের নায্যমূল্য নিশ্চিতে, অভ্যন্তরীন বাজার ব্যবস্থাপনা ও রপ্তানির জন্য উপযুক্ত পরিবেশের দাবি উদ্যোক্তাদের।

এ অবস্থায় ভালো উৎপাদন পেতে ও একইসাথে উৎপাদন খরচ কমাতে, সঠিক মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগসহ নানা পরামর্শ বিজ্ঞানীদের। আর অল্প খরচে আম উৎপাদন বাড়ানো ও বিদেশে রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানায় কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এ বছর জেলায় ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে নানা জাতের আম।
এসএম/