ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জমি দখলের চেষ্টা, বাড়িঘর ভাংচুর ও মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধনগর গ্রামের মোঃ আলেফ খানের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে আলেফ খান বলেন , রামধননগর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার সাথে আমার জায়গা নিয়া আদালতে মামলা ছিল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আমার পক্ষে আদালতের রায় আসে।

রায়ের কপি আখাউড়ায় থানায় পাঠানো হয়। আখাউড়া থানার এএসআই কামরুল হাসান সরেজমিনে এসে বিবাদীদেরকে আদালতের আদেশ দেখিয়ে আমার জায়গায় যেন তারা না আসে নিষেধ করে যায়।
এতে ইদ্রিস মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হুমকি ধমকি দিলে আমি ভয়ে থানায় যাই। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় ইদ্রিস মিয়া ও মোঃ কুতুব মেম্বারের লোকজন আমার বাড়িতে এসে হামলা ও মারধর করে। এসময় আমার বাগানের প্রায় ৩০টি আম গাছের চারা ভেঙ্গে উপড়ে ফেলে। একটি খড়ের গাদা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
ঘরের টিনের চালের বেড়া ও দরজা-জানালা ভাংচুর করে। বাঁধা দিতে গেলে আমার মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে। আদালতের রায় পাওয়ার পরও প্রভাবশালীরা আমার জমি দখলের চেষ্টা করছে। আখাউড়ায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনও আসামীরা গ্রেপ্তার হয়নি। এখন আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে এএসআই কামরুল হাসান বলেন, আদালতের রায়ের কপি পেয়ে আমি উভয়পক্ষকে রায়ের বিষয়টি অবগত করি। ইদ্রিস মিয়াকে ওই জায়গায় যেতে নিষেধ করা হয়।জানতে চাইলে কুতুব মিয়া মেম্বার বলেন, আলেফ খানের জায়গার পাশে আমার নাল ভূমি আছে। আমি আমার ভূমিতে আছি। তার জায়গার দাগ ও আমার জায়গার দাগ আলাদা। তাকে মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।
পড়ুন : আখাউড়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ আটক ৭
দেখুন : আখাউড়ায় ভারতীয় পানির তোড়ে বিকল্প সড়ক ভেঙে যান চলাচল বন্ধ |
ইম/