মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে ঘুষের টাকা নিয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী এম এম শহিদুল ইসলামের সঙ্গে ঠিকাদারদের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।
আজ রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে এলজিইডি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় একাধিক সূত্র।
জানা গেছে, এলজিইডির আওতায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ওয়ার্ক অর্ডারের ভিত্তিতে প্রতি প্রকল্প থেকে ১% হারে ঘুষ দাবি করে থাকেন উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম। কিন্তু সম্প্রতি কিছু প্রকল্পের ঘুষের পরিমাণ কম দেয়ায় অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে শহিদুল ইসলামের তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অন্য ঠিকাদাররাও সেখানে উপস্থিত হন এবং প্রতিবাদে অংশ নেন।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, শহিদুল ইসলাম নিয়মিতভাবে ঘুষ আদায়ে চাপ প্রয়োগ করেন। চলমান কাজ পরিদর্শনের সময় প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না দিলে কাজের বিভিন্ন অজুহাতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন এবং ব্যবহারেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। অনেক সময় বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হয়, নাহলে কাজ আটকে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
তবে সাংবাদিকরা ভিডিও প্রমাণের কথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ‘যদি তাদের কাছে ডকুমেন্ট থাকে, তারা সংবাদ প্রচার করতে পারেন।’
গাংনী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘ঘুষের বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ ঘুষ গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এনএ/