ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে কেবি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন প্রধানের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (৯ মার্চ) সকাল দশটা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ফর্ম ফিলাপের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা রকম অনিয়মের অভিযোগে অফিসের দরজায় তালা দিয়ে তাকে আটক করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, হরিপুরে কেবি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন প্রধান দীর্ঘ দিন ধরে ওই কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই সাথে এইচএসসি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপে সরকারি ফ্রি বাদে বিভিন্ন অযুহাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন।
কেবি ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রদের জন্য লাইব্রেরি ফি ১০০ টাকা, বিজ্ঞানাগার ফি ২০০ টাকা, ক্রীড়া ফি ১০০ টাকা, দুস্থ্য তহবিল/মসজিদ ৫০ টাকা, বোর্ড প্রতি ১৯৩০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৮৫৫ টাকা, রোভার্স স্কাউট গার্লস গাইড ফি ২৫ টাকা, বিদ্যুত বিল ১০০ টাকা এবং অনলাইন ফি ২০০ টাকা করে মোট ৩৫৬০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। মানবিক বিভাগের জন্য লাইব্রেরি ফি ১০০ টাকা, বিজ্ঞানাগার ফি ৫০ টাকা, ক্রীড়া ফি ১০০ টাকা, দুস্থ্য তহবিল/মসজিদ ৫০ টাকা, বোর্ড প্রতি ১৭৩০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৪৯৫ টাকা, রোভার্স স্কাউট গার্লস গাইড ফি ২৫ টাকা, বিদ্যুত বিল ১০০ টাকা এবং অনলাইন ফি ২০০ টাকা মিলিয়ে মোট ২৮৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে, লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার, ক্রীড়া ফি, দুস্থ্য তহবিল/মসজিদ, রোভার্স স্কাউট গার্লস গাইড ফি, এবং বিদ্যুত বিলের নামে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। তাদের দাবি, কলেজের লাইব্রেরি এবং বিজ্ঞানাগার থাকলেও সেগুলো কোনো কাজে আসে না এবং ক্লাস করানো হয় না। ক্রীড়া ফি নিয়েও শিক্ষার্থীরা বিরক্ত, কারণ গত পাঁচ বছরে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো খেলাধুলার আয়োজন করেনি। এর পরিবর্তে, কলেজ মাঠে ভুট্টা চাষ করা হয়। অধ্যক্ষের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা কলেজ ভবনের গেটে তালা লাগিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন।

কেবি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন প্রধান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বোর্ড ও কেন্দ্র ফি ব্যাতিত কলেজের আনুসাঙ্গিক খরচ রয়েছে শিক্ষার্থীদের রশিদ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ সহ বাকি অভিযোগ গুলো অস্বীকার করে বলেন শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের সাথে খারাপ আচরণ করে তিনি তাদের সাথে কোন খারাপ আচরণ করেননি।
এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রায়হানুল হক মিঞা বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এনএ/