শেয়ারবাজার ছাড়তে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা। দরপতনের আতঙ্কে ১০ হাজার বিনিয়োগকারী মাত্র ৪ কার্যদিবসে তাদের হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এর ফলে শেয়ারশূন্য বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে।
বিও হিসাব মূলত শেয়ারবাজারের বিনিয়োগের প্রাথমিক ধাপ। কিছুটা ব্যাংক হিসাবের মতোই বিও হিসাব। শেয়ারবাজারের গ্রাহক বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে বিও হিসাব খুলে থাকেন। বিও হিসাব থেকেই শেয়ারবাজারে কেনাবেচা করা হয়। ২১ মার্চে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ৪২ হাজার।
২৮ মার্চ লেনদেন শেষে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ৯ হাজার ৭৪৫টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার ২১৯। ২৪ মার্চ একদিনে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৪৫২ বিও হিসাবধারী সব শেয়ার বিক্রি করে দেন। শেয়ারবাজারে একজন বিনিয়োগকারী নিজের নামে একটি এবং যৌথ নামে একাধিক বিও হিসাব খুলতে পারেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১০ হাজার হিসাবধারী তাদের শেয়ারশূন্য অবস্থান ফিরে গেলেও নতুন হিসাব বিনিয়োগকারী বা হিসাব খোলা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৭০টি।
সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড-সিডিবিএল শেয়ারবাজারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শেয়ার ও বিও হিসাব সংরক্ষণ করে। সাধারণত শেয়ারবাজারে যারা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন, শেয়ারের দরপতন হলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক ওই ঋণগ্রহিতার শেয়ার বিক্রি করে দিতে পারে। ২৫ ও ২৬ মার্চ শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়।
এতে অনেক বিনিয়োগকারির শেয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিক্রি হয়েছে। ২৪ মার্চ থেকে সপ্তাহের পরবর্তি কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের, ডিএসই, প্রধান সূচক ১৬৪ পয়েন্ট বা পৌনে ৩ শতাংশ কমে যায়। এসময় ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৪৯৪ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন ২ কোটি টাকা বেশি ছিলো।