অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন। ওই দিন ক্যাম্প পরিদর্শন এবং একাধিক বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় লাখো রোহিঙ্গাকে নিয়ে ইফতার করবেন দুজন।
রোহিঙ্গারা বলছেন, আন্তর্জাতিক মহল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আছে এবং তারা স্বদেশে ফিরতে পারবেন। এসব দাবি সহজেই বলতে পারবেন দুই জনকে। একই সঙ্গে সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) খাদ্য সহায়তা কমিয়ে নেয়ার বিষয়েও এটা সমাধান হবে।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে বলা হয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ আশ্রয়শিবির। যেখানে বসবাস করছে ১৩ লাখের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। দীর্ঘ ৮ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। উল্টো গত কয়েক মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা। এ অবস্থায় আগামী শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শনে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘ মহাসচিব এর আগেও আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেছেন। তবে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে প্রধান উপদেষ্টার এটিই প্রথম সফর। আশ্রয়শিবিরে তাদের সফর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে অগ্রগতি আসবে মনে করছেন রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতারা।
প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব আশ্রয়শিবির পরিদর্শনের পাশাপাশি একাধিক বৈঠকে অংশ নিবেন। এরপর সন্ধ্যায় ইফতার করবেন লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে। তাই কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে দুজনের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আগামী শুক্রবার (১৪ মার্চ) জাতিসংঘের মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটতে চলেছে। বাংলাদেশের জন্য এবং রোহিঙ্গাদের জন্যও তো অবশ্যই। এটির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যে বিশ্ব সম্প্রদায় পাশে আছে এবং বাংলাদেশ যে তাদের পাশে রয়েছে এটি প্রমাণিত হচ্ছে। এটি ঐতিহাসিক একটি বড় ঘটনা।
পড়ুন : জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু নতুন গতি পাবে: ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি