33 C
Dhaka
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

পরিবারের সঙ্গে আপোষের চাপ, সদর থানায় ছাত্র-জনতার তালাবদ্ধ বিক্ষোভ

মেহেরপুরে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামলার আসামির জামিনে মুক্তির পর, থানায় ডেকে জোরপূর্বক আপোষের চেষ্টার অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে ছাত্র ও জনতা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে মেহেরপুর সদর থানার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেছে, জামিনে মুক্তি পাওয়া ধর্ষক বায়েজিদ ও তার সহযোগীরা ভিডিও প্রকাশ করে ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদার দাবি জানায়। পরে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, ওসি শেখ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ ও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সঞ্জয় কুমার মল্লিক আপোষে চাপ দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনার প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা থানা চত্বরে জড়ো হয়ে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। “আমরা একটি বোন হারিয়েছি, আর কোনো বোন হারাতে চাই না—ধর্ষকের অবিলম্বে গ্রেপ্তার চাই, দায়ী পুলিশ ও বিচারপতির বিচার চাই”—এমন স্লোগানে প্রকম্পিত হয় থানা চত্বর।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, এতে অন্তত ৬-৭ জন আহত হন। এরপর বিক্ষোভ আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয় এবং শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে সরে যায়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আপোষ চাই না, বিচার চাই। পুলিশ যদি আমাদের নিরাপত্তা না দেয়, তাহলে আমরা কার কাছে যাবো?

ছাত্র আন্দলনের আাহবায়ক ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, আমরা একটা বোন হারিয়েছে আর কোন বোন হারাতে চায় না। ধর্ষককে আজকের মধ্যে গ্রেপ্তার করে হাজতে নিতে হবে। যে যে পুলিশ সদস্য র্ধষকের পক্ষে নিয়ে আমাদের পিটিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। যে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন দিয়েছে তারও বিচার করতে হবে।

মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং ধর্ষকের পুনরায় গ্রেপ্তারে যৌথবাহিনী কাজ করছে।

এনএ/

দেখুন: রহস্য উদঘাটনে সফল আশুলিয়া থানা পুলিশ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন