খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই ইহুদি তরুণদের সংগঠন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে। ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও তার মুক্তির দাবিতে ম্যানহাটনের ট্রাম্প টাওয়ারে প্রতিবাদ করছে এসব বিক্ষোভকারীরা। এ সময় সেখান থেকে কমপক্ষে ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল। গত বছর দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ সংগঠিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। গত শনিবার নিউইয়র্ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসন খলিলের গ্রিন কার্ডও বাতিল করেছে।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে ইহুদিপন্থি সংগঠন জিউইশ ভয়েস ফর পিস। দুপুরের কিছুক্ষণ পরেই ট্রাম্প টাওয়ারে লাল সার্ট পড়ে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় মাহমুদ খলিলকে মুক্ত করো স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, প্রায় তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীর মধ্যে ৯৮ জনকে গ্রেপ্তার কর হয়। তবে কোনও আহত বা সম্পত্তির ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
গ্রেপ্তারের পর লুইসিয়ানায় অভিবাসন হেফাজতে রাখা হয় খলিলকে। এই গ্রেপ্তারের পর ডেমোক্র্যাটিক আইন প্রণেতারা, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত এবং নাগরিক স্বাধীনতার সমর্থকরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে ট্রুথ সোশ্যাল মিডিয়ায় সোমবার একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, যদি কেউ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে তাহলে তার উপস্থিতি মার্কিন জাতীয় ও পররাষ্ট্র নীতির স্বার্থের পরিপন্থী।
এনএ/